বার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোর রাত উপহার দেওয়ার অনেক ইতিহাস আছে রিয়ালের। তবে এবারের চ্যালেঞ্জটি বেশ কঠিন। পাশাপাশি আনচেলত্তির খেলোয়াড়েরাও তেমন একটা ছন্দে নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালের জালে এমনিতেই গোল নেই রিয়ালের। ২০০৬ সালে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ও সর্বশেষ মুখোমুখিতে রিয়ালের হারে দুই লেগে স্কোরলাইন ছিল ১-০ ও ০-০। প্রায় দুই দশক পর কাল রাতের মুখোমুখিতেও গোল পায়নি রিয়াল। আর্সেনালের ১১ শটের বিপরীতে আনচেলত্তির ছাত্ররা গোলে শট রাখতে পেরেছে মাত্র ৩টি। ভাগ্য ভালো, কোর্তোয়া চার-পাঁচটি দুর্দান্ত সেভ করেছেন। নইলে রিয়ালের হারের ব্যবধান আরও বাড়ত।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তির কথায় তাই তেমন জোর পাওয়া গেল না। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ঠিকই ঝরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই কোচের কণ্ঠে, ‘সাধারণত দলটি ম্যাচের শেষ দিকে খেলার ধার বাড়ায়। এটা হতাশার ও বাজে। আমাদের নিজেদের ভুলগুলো দেখতে হবে এবং পরের সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়াতে যা যা করা সম্ভব করতে হবে।’

ইতালিয়ান এই কোচ সরাসরি স্বীকার করেছেন, রিয়ালের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আর্সেনালকেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, লড়াই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আর ইতিহাসও বলছে, ২০০৪ সালের পর রিয়াল কোয়ার্টার ফাইনালে হারেনি। তাই বলে যে হারবে না, সেটাও তো না! আনচেলত্তির মনেও কি এ দুশ্চিন্তা উঁকি দিচ্ছে? শুনুন তাঁর মুখেই, ‘সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু আমাদের শতভাগ চেষ্টা করতে হবে। যা যা করা সম্ভব, সব করতে হবে। এটা বাজে ম্যাচ খেলার প্রতিক্রিয়া দেখানোর একটা সুযোগ।’