আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আলোকচিত্রে মজার ব্যাপার হচ্ছে মুহূর্তকে ধরা। যেমন বিউটি বোর্ডিংয়ের বিমলদার মাথার ওপরের কাকটিকে মুনেম ধরেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ছবি বিশ্লেষণের সময় শুধু ফ্রেমের মধ্যে যা আছে তা নিয়ে ভাবি। তবে আলোকচিত্র শুধু তা–ই নয়। এমন অনেক কিছুকে মনে করিয়ে দেয় যা ফ্রেমে নেই।’ এ সময় তিনি ২০২৫ সালে এসেও চারুকলা অনুষদের মতো জায়গায় আলোকচিত্র চর্চা না হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন। মুনেম ওয়াসিফের শিক্ষক হিসেবে অর্জনও অসামান্য বলে জানান শহিদুল আলম।
আলোকচিত্রী মুনেম ওয়াসিফ তাঁর বক্তব্যে পুরান ঢাকার অলিগলিতে ঘুরে ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। কখনো কল্পনা বোর্ডিংয়ের চায়ের দোকানে সুড়ুত সুড়ুত শব্দে চা খাওয়া, কখনো বিউটি বোর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন। মাহুতটুলী, বনগ্রাম, কসাইটুলী বা লক্ষ্মীবাজারের সরু পথ, স্যাঁতসেঁতে দেয়াল আর মানুষের গল্প বলেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। তিনি মুনেম ওয়াসিফের সঙ্গে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সম্পর্কের যাত্রার কথা তুলে ধরেন।
ক্রমশ দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনী আলোকচিত্র, ফিল্ম ও ভাস্কর্যের মিশ্র মাধ্যমে তিনটি পর্বে সাজানো হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে উঠে আসা সবই ঘটেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে ছড়িয়ে থাকা জীবনপ্রবাহ ও স্মৃতিকাতরতার চিহ্ন নিয়ে। এই প্রদর্শনীর কিউরেটর তানজিম ওয়াহাব। তিনি প্রদর্শনীর পরিচিতি পত্রে লিখেছেন, ছবিগুলো অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে বিস্তৃত নানা মুহূর্তের এক বিশাল সমাহার। এ প্রদর্শনী চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। রোববার বাদে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী।